মেডিকেল সেক্স টিপপ্স

আমার স্ত্রীর মানসিক সমস্যা আছে
যা আমি বিয়ের সময় জানতাম না।
পরবর্তীতে যখন জানতে পারি তখন
তো দেরী হয়ে গেছে । আমার
শ্বশুরপক্ষের লোকজন আশ্বাস দেয়
সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে ! পরবর্তীতে
বাংলাদেশের বহু স্বনামধন্য
ডাক্তারকে দেখিয়েও সে সুস্থ্য হয়
নি। আমার কাছে সমস্ত
প্রেসক্রিপশন আছে। কিছুদিন আগে
সে আমাকে কামড়িয়ে রক্তাক্ত
করে দেয়। পরবর্তীতে তার বাবার
বাড়ির লোকজন তাতে তাদের
বাড়িতে নিয়ে যায়। এখন তারা
আমাকে হুমকি দিচ্ছে। ৪ দিন আগে
আমাকে ফোন করে তারা ১০ দিনের
সময় দিয়েছে। তারা নারী নির্যাতন
মামলাও করতে পারেরে আমার
নামে। তারা এলাকায় প্রভাবশালী।
আমি খুবই ভীত। আমি এখন কি করতে
পারি ??
প্রসঙ্গত আমি সরকারী চাকুরী করি।
এবং আমার অফিসও একই এলাকায়।
জিডি করলে আমার চাকুরীর সমস্যা
হবে কি ? "
দিলে পরামর্শ ভাল হয় ?
পরামর্শ:-
আপনার স্ত্রীর মানসিক সমস্যা
থাকা আপনার স্ত্রীর দোষ নয়,
অসহায়ত্ব! বরং আপনার ভূলে ও
আপনার শাশুরপক্ষের প্রতারণায়
বিয়েটা হয়েছিল। আপনি একটা
নারীর (যে আপনার সহধর্মীনি)
অসহায়ত্ব ও আপনাদের দু'জনের সুন্দর
ভবিষ্যতের কথা ভেবে, আপনার
স্ত্রীকে ভালোবাসা ও সুচিকিৎসা
দিয়ে সুস্থ্য করার চেষ্টা করলে-
আপনাদের জীবনও সুখী হবে, অসহায়
মেয়েটিও সুস্থ্য জীবন পাবে।
আপনার বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায়
অথবা এলাকাধীন নারী ও শিশু
নির্যাতন দমন ট্রাইব্যূনালে
'যৌতুকের দাবীতে নির্যাতনের
অভিযোগে, নারী ও শিশু নির্যাতন
দমন আইনের ১১ (গ) ধারায়' নারী
নির্যাতন মামলা করলে (মিথ্যা
হলেও), আপনি ভোগান্তি ও
হয়রানিতে পড়তে পারেন। এই ১১ (খ
বা গ) ধারার অধিকাংশ মামলা
সরাসরি থানা থেকেই
(ট্রাইব্যূনালের নির্দেশে বা
সরাসরি) GR মামলা হিসেবেই রুজু
হয়ে C/S দাখিলের আগ্ পর্যন্ত ক'মাস
ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে চলমান
থাকাবস্থায় একমাত্র মহামান্য
হাইকোর্ট ছাড়া আত্মসমর্পণ করে
জামিন পাওয়ার কোন সুযোগ নেই!
সংশ্লিষ্ট ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে
আত্মসমর্পন করলে অথবা পুলিশ কর্তৃক
ধৃত হলে, এমনকি স্বয়ং বাদী
আপোষে মামলা নিষ্পত্তির অথবা
আসামীর জামিনে অনাপত্তির
আবেদন দিলেও এবং মামলাটি
সম্পূর্ণ মিথ্যা হলেও, ম্যাজিষ্ট্রেট
আদালত জামিন দেন না বা
ট্রাইব্যূনাল বিচার্য মামলায় জামিন
দেয়ার এখতিয়ার থাকে না।
এক্ষেত্রে ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে
জামিন চেয়ে নামঞ্জুরের আদেশে
সংক্ষুদ্ধতা দেখিয়ে, বিজ্ঞ নারী ও
শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যূনাল-এ
'বি.পি.মিচ বা ফৌঃ মিচ' দায়ের
করে ফৌঃকাঃ বিধির ৪৯৮ ধারায়
আসামীর জামিনের আবেদন করতে
হয়। এই ফৌঃ মিচ মূলে জামিন
আবেদন কেবল হাজতী আসামীর
পক্ষেই করা যায়! ম্যাজিষ্ট্রেট
কোর্টে জামিনের আবেদন
(নামঞ্জুর) থেকে শুরু করে মামলার ও
আদেশের অবিকল সহিমূহুরী নকল
সংগ্রহ, মিস দায়ের ও জামিন
শুনানী করতেই মাসখানেক (আসামী
জেল হাজতে) সময় চলে যায়!
এরপরেই জামিন বিবেচনা।
হাইকোর্ট থেকে অন্তবর্তীকালীন
জামিন পেলে মেয়াদান্তে
অধিকাংশ আসামী হাজতে যায়!
আবার স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুক
দাবীর অভিযোগের এই মামলা
আমলযোগ্য বলে অতি সহজেই থানায়
বা ট্রাইব্যূনালে দায়ের করা যায়।
এই মানসিক অসুস্থ্য স্ত্রী অথবা
তারপক্ষে তার পিতা/মাতা/ভাই/
বোন যে কেউই থানা এজাহার দিয়ে
(মিথ্যা হলেও) ১১(গ) ধারার নারী
নির্যাতন মামলা রুজু করাতে পারে
অথবা নারী ট্রাইব্যূনালে
'ফৌজদারী দরখাস্ত' দিলে, ৮০%
থানার ওসি কে নিয়মিত মামলা
রুজু'র নির্দেশ অথবা বিচার
বিভাগীয় বা যে কাউকে তদন্ত
দিলে, বেশীর ভাগ তদন্ত কর্মকর্তা
বাদীপক্ষেই রিপোর্ট দেয়, মিথ্যা
মর্মে রিপোর্ট দিলে-বেশীর ভাগ
নারী জজ অপরাধ আমলে নিয়ে W/A
ইস্যুর আদেশ দেন। এই মামলার ৯৫%
আসামীর জেল হাজতবাস ছাড়া
জামিনের বা আত্মপক্ষ সমর্থনের
উপায় নেই!
এক কথায়, আপনার বিরুদ্ধে
'যৌতুকের দাবীতে নির্যাতনের
অভিযোগে, নারী ও শিশু নির্যাতন
দমন আইনের ১১ (গ) ধারায়' নারী
নির্যাতন মামলা করলে (মিথ্যা
হলেও), আপনি ভোগান্তি ও
হয়রানিতে পড়তে পারেন, আত্মপক্ষ
সমর্পণের অথবা নিজেকে নির্দোষ
প্রমাণের সময়-সুযোগ আসতে আসতে
আপনার হয়রানীর সীমা থাকবে না।
যদিও আপনার স্ত্রী যেহেতু মানসিক
রোগী, নিজেকে নিদোর্ষ প্রমাণের
ন্যায় ও যুক্তিগত কারণাদি আপনার
আছে ।কিন্তু আপনার স্ত্রীকে
ভালোবাসা ও সুচিকিৎসা দিয়ে
সুস্থ্য করার চেষ্টা করলে- আপনাদের
জীবনও সুখী হবে, অসহায় মেয়েটিও
সুস্থ্য জীবন পাবে।
মেয়েটি সারা জীবন আপনার কাছে
কৃতজ্ঞ ও নত থাকবে। আপনিও একটা
নারীর সুস্থ্যতায় (কিছু সৃষ্টির)
আত্মতৃপ্তি পাবেন।
তারপরেও আপনি বিশেষ ভেবে
চিন্তে তার সাথে (অসুস্থ্য, অসহায়
ও নিজের স্ত্রী কে) বিবাহ বিচ্ছেদ
করতে আগ্রহী হলে এবং তার পক্ষের
মিথ্যা মামলা থেকে বাচতে.....
আপনি অতি সত্বর তাকে (স্ত্রী কে)
প্রাথমিক তালাক দিয়ে, আপনার
স্ত্রীর মানসিক অসুস্থ্যতার
প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র সহ
পারিবারিক আদালতে বিবাহ
বিচ্ছেদের মামলা করে দেন এবং
বকেয়া দেনমোহর ও খোরপোষ
পরিশোধের ব্যবস্থা করেন। আপনার
তালাক নামা ও বিবাহ বিচ্ছেদর
মামলা আপনাকে ঐ মানসিক অসুস্থ্য
স্ত্রী ও তার হয়রানী থেকে মুক্তি
দিতে পারে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন